শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে পাঁচ লাখ শরনার্থীকে আগামী দুই বছরে ফেরত নিতে পারে মিয়ানমার। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা আসিয়ানের এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
আসিয়ানের ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট টিমের (আসিয়ান-ইএআরটি) ফাঁস হয়ে যাওয়া ওই প্রতিবেদনটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যেই ওই প্রতিবেদনটি দেখেছে এএফপি।
প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার বিষয়ে কাজ চলছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই প্রতিবেদনে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ না করে তাদের ‘মুসলিম’ সম্প্রদায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের বেশ কিছু পুলিশ ও সেনা চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু গ্রামে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ ও তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। এই ঘটনাকে জাতিগত নিধন বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করারও আহ্বান জানিয়ে আসছে সংস্থাটি। বর্তমানে বাংলাদেশে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে মিয়ানমারের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। এছাড়া এখানকার রোহিঙ্গারাও আতঙ্কের কারণে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান না। সেখানে আবারও আগের মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলে এখনও তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়ে গেছে।
Leave a Reply